,

নির্মল সেনের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট, লেখক, বাম রাজনীতির পুরোধা, মুক্তিযোদ্ধা নির্মল সেনের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি তিনি রাজধানী ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে ৮৩ বছর বয়সে পরলোক গমন করেন। তার সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় নির্মল সেন স্মৃতি সংসদ এক স্মরণসভার আয়োজন করেছে।

১৯৩০ সালের ৩ আগস্ট গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার দীঘিরপাড় গ্রামে সাংবাদিক নির্মল সেনের জন্ম। তার বাবার নাম সুরেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। মায়ের নাম লাবণ্য প্রভা সেনগুপ্ত। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে নির্মল সেন পঞ্চম। নির্মল সেনের বাবা সুরেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত কোটালীপাড়ার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইন্সটিটিউশনের গণিত শিক্ষক ছিলেন। এর আগে সুরেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ঢাকার ইস্টবেঙ্গল ইন্সটিটিউটে শিক্ষকতা করতেন।

দেশভাগের পরে নির্মল সেনের বাবা-মা অন্য ভাই-বোনদের সঙ্গে নিয়ে কলকাতা চলে যান। জন্মভূমির প্রতি অকুণ্ঠ ভালোবাসার কারণে তিনি এদেশে থেকে যান। নির্মল সেন বড় হয়েছেন ঝালকাঠি জেলায় তার পিসির বাড়িতে। তিনি ঝালকাঠি জেলার কলসকাঠি বিএম একাডেমি থেকে ১৯৪৪ সালে ১৪ বছর বয়সে ম্যাট্রিক পাস করেন। তিনি বরিশাল বিএম কলেজ থেকে আইএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ও মাস্টার্স পাস করেন। স্কুলজীবন থেকে নির্মল সেনের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের মাধ্যমে। কলেজ-জীবনে তিনি অনুশীলন সমিতির সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

পরবর্তী সময়ে তিনি আরএসপিতে যোগ দেন। দীর্ঘদিন তিনি শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজনীতি করতে গিয়ে নির্মল সেনকে জীবনের অনেকটা সময় জেলে কাটাতে হয়েছে। ১৯৫৯ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের মধ্য দিয়ে নির্মল সেন তার সাংবাদিক-জীবন শুরু করেন। এরপর দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক বাংলা পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। তিনি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিষয়ে অতিথি শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন। লেখক হিসেবেও নির্মল সেনের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তার লেখা পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ, মানুষ সমাজ রাষ্ট্র, বার্লিন থেকে মস্কো, মা জন্মভূমি, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই, আমার জীবনে ৭১-এর যুদ্ধ, আমার জবানবন্দি উল্লেখযোগ্য।

এই বিভাগের আরও খবর